চীনের গবেষণাগারেই এ ভাইরাস জীবাণু তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগে সরব মার্কিন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর মিত্ররা।করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে বড় সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল দাবি করেছে, চীনের উহানের ওই গবেষণাগারকে আর্থিক সাহায্য করছিল যুক্তরাষ্ট্র।ফলে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে এখন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এই দাবিতে প্রশ্ন উঠেছে, অনুদান দেওয়ার আগে কি যুক্তরাষ্ট্রে জানত না, সেখানে কী নিয়ে গবেষণা চলছে? না জেনেই এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে সাহায্য করল দেশটি?
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’ যে তথ্য পেয়েছে, তাতে স্পষ্ট মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের প্রকল্পের অংশ হিসাবে উহানে বাদুড়ের উপর গবেষণা চলছিল। এই মার্কিন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীন। বায়োমেডিক্যাল ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরীক্ষা তাদের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী,ওবামার আমলে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিকে ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করা হয়েছিল ২০১১ সালে।
অনেকেই মনে করছেন উহানের বাজার নয়, আসলে ভাইরাস ছড়িয়েছে ওই ল্যাব থেকেই। এই খবর সামনে আসতেই মার্কিন আইন প্রণেতারা, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে।
এ ধরনের বিপজ্জনক ও নিষ্ঠুর পরীক্ষায় কীভাবে মার্কিন সরকার টাকা ঢেলেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।