মিজানুর রহমান ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারির সংগঠক ও নেতা। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ ও ১৯৬৭-৬৮ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬-এর নির্বাচনে দুটি করে আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ভারতের মেঘালয়ে মুজিব বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার (মুজিব বাহিনীর ৪ সেক্টর কমান্ডারের একজন) ছিলেন।
মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে পরিবার, দল এবং বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো– সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ও আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোচনা সভা করা হবে।
বর্ণাঢ্য এ রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১ আগস্ট শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে। তার বাবা ইমাম উদ্দিন এবং মা বেগম আকফাতুন্নেছা।