887
উৎস ডেস্কঃ
মাধ্যমিক হতে স্নাতক শিক্ষার ৯৮% হল বেসরকারি । বৈশ্বিক এই সংকট কালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখতে সরকার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার করেছে এতে উপকার ভোগীর সংখ্যা খুবই কম।কারণ গ্রাম অঞ্চলের ৫০% বাড়িতে টিভি নাই টিভি থাকলেও স্যাটেলাইট নাই তাই তাদের বিটিভি ছাড়া অন্য কোন চ্যানেল দেখার সুযোগ নাই।এজন্য শিক্ষক সম্প্রদায় বিটিভিতে ক্লাস সম্প্রচার এর অনুরোধ করে আসছে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় শিক্ষকগণকে শিক্ষার্থীদের খোজ নেওয়া ফোনে হোম ওয়ার্ক দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যা খুবই যুগোপযোগী ।ইতিমধ্যেই অধিকাংশ শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দিক নির্দেশনায় বন্ধকালীন সময়ে হোম ওয়ার্ক ও গাইড লাইন তৈরী করে বাড়িতে বাড়িতে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছে দিচ্ছে। যার কারনে শিক্ষার্থীরা টেবিলে আছে। ক্ন্তিু স্থবির হয়ে যাচ্ছে বেশিকদের জীবনযাত্রা ।এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের মার্চ মাসের বেতন এবং বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য নিউজ উৎসর মাধ্যমে সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষক। আমাদের সামান্য টাকা দিয়ে সারামাস সংসার চালাতে হয়। আশাকরি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মহোদয়গণ শিক্ষকদের অর্থকষ্ট লাঘবের দিকটা খেয়াল রাখবেন।৮০% বেশিক যে অনুদান পায় তা দিয়ে কোনরকমে সংসার চলে। কোন কারনে তাদের বেতন পেতে দেরী হলে তাদের টেনশন বেড়ে যায় যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বৈশ্বিক এই মহামারীতে ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে বেশিকরা দিশেহারা ।১০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষনা করায় বেশিকদের মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতার চেক ছাড়করনে বিলম্বিত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। দোকান পাঠ বন্ধ থাকায় বাকীতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছে না লজ্জায় কারো কাছে হাত ও পাততে পাড়ছে না।বিশেষ ব্যবস্থায় সাধারণ ছুটি কালীণ সময়ে কষ্ট করে হলেও মানবিক দিক বিবেচনায় মার্চ-২০২০ এর বেতন ও বৈশাখী ভাতা ছাড়করনের বিনীত অনুরোধ করছি।
জহিরুল ইসলাম
যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, বাবেশিফো