10
সব তালিকাতেই নিজের স্বজনদের নাম বসিয়েছেন কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার। তাদের প্রাধান্য দিয়ে বানাচ্ছেন তালিকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর করোনা পরিস্থিতিতে ভিক্ষুক, ভবঘুরে শ্রেণির মানুষের জন্যে সরকারের চালু করা বিশেষ ওএমএস তালিকাতেও বাদ রাখেননি তাদের। এই তালিকার ২৯ নম্বরে রয়েছে কাউন্সিলরের আপন ভাই। রয়েছেন প্রবাসী ছেলে। বাদ যাননি স্ত্রীও। তালিকায় তার ক্রমিক নং ১১৯। আরও আছে ইউরোপ-আমেরিকা প্রবাসীও। এখানে থেমে থাকেন নাই নেহার। কারিশমা দেখিয়েছেন বয়স্কভাতার তালিকাতেও।
এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও ধনাঢ্য আরও অনেক লোকজনের নাম বসিয়েছেন কাউন্সিলর নেহার ওই তালিকায়। ৩৩৭ নম্বরে দেখা গেছে ইউরোপ-আমেরিকা প্রবাসী। আছেন সৌদি প্রবাসীও। এরা সবাই ওই ওয়ার্ডের ভাদুঘরের দাশ পাড়া, সাহাপাড়া, নোয়াপাড়া, খাদেমপাড়া ও এলহাম পাড়ার বাসিন্দা। পুরো ওয়ার্ডের তালিকায় সামর্থ্যবানের নামের ছড়াছড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কাউন্সিলরের এই কীর্তিতে ক্ষোভ জমা হয়েছে এলাকার বঞ্চিত হত-দরিদ্র মানুষজনের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়, বয়স্কভাতার তালিকাতে আপন ভাই-ভাবীর নামও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
শহর সমাজসেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরাই মূলত তালিকা করে থাকেন।
এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার জানান, রবিবার বিশেষ ওএমএস তালিকার সংশোধনী দিয়েছেন। এখন যাকে খুশি তাকে দিলে তার আপত্তি থাকবেনা। বয়স্ক ভাতার তালিকার বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘আশপাশের দু একটা লোকের নাম দেওয়া তো অপরাধ নয়! আর বৃদ্ধ মানুষ ছাড়া কারো নাম দেইনি।’