বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সারা দেশে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে মসজিদে নামাজ আদায়ে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সে নির্দেশনা মেনেই নামাজ আদায় করতে হবে।
সচিব জানান, এ ব্যাপারে আমাদের যে নির্দেশনা আছে তাই ঠিক থাকবে। আমরা কেউ সরকারি নির্দেশনার বাইরে নই। ওই ব্যাপারে মেয়রের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মেয়রকে জানানো হয়েছে, তিনি আমাকে বলেছেন, মেয়রই ওটা সংশোধন/প্রত্যাহার করবেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পূর্বে নেয়া সরকারি নির্দেশনা মতেই মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ৫ জন করে, জুম্মার নামাজে ১০ জন করে এবং তারাবিহ’র নামাজে ১২ জন নিয়ে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, মসজিদ বা উপসনালয়ে ঘোষিত সরকারি সিদ্ধান্ত আমাদের কারো পরিবর্তনের এখতিয়ার নেই। এটার পরিবর্তন হলে সরকারের তরফ থেকেই আসতে হবে।
গাজীপুরের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় গাজীপুর মহানগরে যে এলাকায় করোনার সংক্রমণ নেই সে এলাকার মসজিদগুলোতে মুসুল্লিদের নামাজ আদায় করার জন্য খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি ঘোষণায় বলেন, যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্প সংখ্যক মুসল্লিদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, যারা অসুস্থ নয় এবং যে সব ওয়ার্ডে করোনা ভাইরাস পজেটিভ রোগী পাওয়া যায়নি, সে সব এলাকার মসজিদে যদি মুসল্লিরা নামাজ পড়তে চায়, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা হবে না।
“তবে ওইসব এলাকায় যেন বাইরে থেকে কোনো লোক করোনার উপসর্গ নিয়ে আসতে না পারে, সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।”
মেয়র জাহাঙ্গীর আরও বলেন, “গাজীপুরের গার্মেন্টস ও আশপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু খোলা হয়েছে, সেহেতু এ এলাকার মানুষকে আর বন্দি রাখা ঠিক হবে না।”