ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে বা মাদক সেবন করতে আশা বহিরাগতদের কাছ থেকে পুলিশের নাম ভাংঙ্গীয়ে বা পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন সময় টাকা বা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আসছিলো অমিত,শরিফুল,শাওয়নসহ কয়েক জন। তবে এদের মদদ দাতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
গত রোববার সন্ধ্যায় যাদবপুর বাজারে বহিরাগতদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে এক সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকের হাজির করা হয় অমিত,শরিফুল,শাওয়নসহ তার অভিভাবকদের। বিচার সালিশে ছিনিয়ে নেওয়া ১৯শ’টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় বিচারকরা ছিনতায়কারীদেরকে ৬ হাজার টাকাও জরিমানা করেন।
এলাকাবাসী জানান,যাদবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সর্ব সময় সাথে থাকা অমিত তার মদদেই এসব অপকর্ম করে আসছে।
যাদবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনে জানান, অমিত আমার সাথে থাকে কথাটা ঠিক। তাই বলে তার অপকর্মের দায় আমি নেব কেন। তার অপকর্মের শান্তি হোক এটাই চাই।
সালিশ বৈঠকের বিচারক যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম মাষ্টার জানন, রোববার সন্ধ্যায় আমরা এলাকার সবাই মিলে বিচারে বসে ছিলাম। বিচারে ছিনতায়কারীদের কাছ থেকে ১৯শ’টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আর বিচারে তাদের অভিভাবকরা নিজের সন্তানকে শাসন করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সালাউদ্দীন আহাম্মেদ জানান, সালিশ বৈঠকে অপরাধীদের বিচার হলেও অপরাধীদের মদদ দাতাদের বের করে বিচার করার দরকার ছিলো। তাহলে এলাকায় এধরনের ঘটনা আর ঘটতোনা।