15
শামীম খানঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের অসহাই শাপলা খাতুর নিজের আত্বসাত কৃত স্বর্ন অলংকার প্রতিবেশীর কাছ থেকে ফেরত পেতে বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাপলা খাতুন বলেন আজ থেকে ৮ মাস পুর্বে আমার মা নাসিমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পরলে আমি আমার মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ব্যাড়ার ঘর হওয়ার কারনে প্রতিবেশী বান্ধবী আব্দুল জলিল মন্ডলের মেয়ে জলির কাছে রেখে যায়।
পরে ডাক্তারের কাছ থেকে এসে আমি আমার রেখে যাওয়া স্বর্ন অলংকার ফেরত চায়। তখন আমার বান্ধবী জলি জানান আমার আলমারির চাবি খুজে পাচ্ছিনা। পরে আমি দিয়ে আসবো।
শাপলা খাতুন আরো জানান,এক মাস পার হলেও আমার রেখে যাওয়া ১টি টিকলী ও ১টি নেকলেচ যার ওজন ১ ভরি সাড়ে ১২ আনা ২ পয়েন্ট ওজনের গহনা আমাকে ফেরত না দিয়ে অধিকার শুরু করে দেয় জলি। পরে আমি গ্রামে ও ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিয়েছি। সেখানে বিচার না পেয়ে আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম।
তিনি আরো জানান, থানার এএসআই রওশন আলী থানায় দু’পক্ষকে ডেকে বিচার করে দেন। কিন্তু আমরা অসহাই হওয়ার কারনে জলি ও তার পরিবারের সদস্যরা থানার বিচার না মেনে উল্টো আমাকে হুমকি ধামকি শুরু করে। এখন আমি আমার প্রায় ২লাখ টাকা মুল্যের স্বর্ন অলংকার ফেরত পাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাপলা খাতুনের নানা বজলু বিশ্বাস,নানী সাফিয়া বেগম,খালা রহিমা খাতুন।