18
শামীম খানঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের দোবিলা বিল নিয়ে আবারও সংঘর্ষের আসংখ্যা দেখা দিয়েছে। সরকারের দেওয়া বিলের সর্বচ্চো দর দাতা হয়েও এখনও বিলটি না বুঝিয়ে দেওয়ার করনেই এই সংঘর্ষের আসংখ্যা দেখা দিয়েছে। বিলটি বর্তমানে সরকারের খাস আদায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার মৎস্য জীবিরা।
মৎস্য জীবিরা জানান, আজমপুরের দোবিলা মৎস্য জীবি সমবায় সমিতি সরকারের দেওয়া বিলটি ডাকের সর্বচ্চো দরদাতা হয়েও এখও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বিলটি সমিতির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
তারা আরো জানান,মহেশপুর হালদারপাড়া মৎস্য জীবি সমিতির ব্যনারে কিছু অসাধূ ব্যাক্তি দোবিলার বিলটি নিতে সরকারের উপর মহলে দোড় ঝাপ শুরু করেছে। যেখানে আজমপুর দোবিলা বিল থেকে মহেশপুরের হালদারপাড়া মৎস্য জীবি সমিতির দুরুন্ত ১৫ কিলোমিটার। তার পরও বিলটি নেওয়ার জন্য হালদারপাড়া মৎস্য জীবি সমিতির পেছন থেকে কলকাটি নারছেন কোটচাঁদপুরের কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। কবির হোসেন একজন মৎস্য জীবি না হয়েও তিনি হয়েছেন বাজে বাউনদা মৎস্য জীবি সমিতির সভাপতি।
বাজে বাউনদা মৎস্য জীবি সমিতির সভাপতি কবির হোসেনের নামে রয়েছে মহেশপুরের স্বরুপপুর ইউনিয়নের উখরির বিল,কোটচাঁদপুরের চণ্ডির বিলও। সরকারের উপর মহলের কর্তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে একজন মৎস্য জীবি না হয়েও নিজের নামে বিল দু’টি করে নিয়েছেন। এভাবেই তিনি মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের বিল গুলো নিজের নামে করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসী জানান, দোবিলা বিল নিয়ে গেলো রোজার মধ্যে তারাবি নামাজের সময় দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন গুরুতর ভাবে আহত হয়। এ নিয়ে থানা পুলিশও হয়ে গেছে। তার পরও আবার নতুন করে বিল নিয়ে সংঘর্ষের আসংখ্যা দেখা দিয়েছে।
আজমপুর দোবিলা মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, আমরা বিলের সর্বচ্চো দরদাতা। তার পরও এখনও আমাদের বিলচি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, সরকারের নিয়ম নিতিতেই রয়েছে বিল এলাকার নিকট বর্তী মৎস্য জীবি সমিতিই হচ্ছে বেশী অগ্রাধীকার। কিন্তু তার পরও আমরা বিলটি ডাকের দিক থেকে প্রথম রয়েছি।
মহেশপুর হালদারপাড়া মৎস্য জীবি সমিতির সভাপতি সাধন হালদার জানান, দোবিলার বিলটি নেওয়ার জন্য আমরা প্রজেক্ট জমা দিয়েছি।