শামীম খানঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ২২নং মাইলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচারনা পরিষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন উন্নয়নের সরকারী বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা ও জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক লিঃ মহেশপুর শাখার হিসাব নং-২৪১৮২৩৪০৬৫০৯৮ বিদ্যালয় পরিচারনা পরিষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন উন্নয়নের সরকারী বরাদ্দের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিদ্যালয় উন্নয়নের কাছে ব্যয় না করে নিজে আত্মসাত করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে সময়মত উপস্থিত না থাকা,ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত ও বিদ্যালয়ে বসে মাদক সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে।
জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্তকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার সকালে সহকারী জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার লক্ষন কুমার দাস ও মহেশপুর উপজেলা সহকারী প্রথমিক শিক্ষা অফিসার ইসতিয়াক ২২নং মাইলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন।
এ বাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেন জানান, ভুয়া রেজুলেশন করে আমার ও অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন উন্নয়নের সরকারী বরাদ্দের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিদ্যালয় উন্নয়নের কাছে ব্যয় না করে নিজে আত্মসাত করেছেন যার প্রমান তদন্তটি পেয়েছেন এবং দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আগামীকাল থেকে আর আমাদের বিদ্যালয়ে থাকবেনা বলে জেলা শিক্ষা অফিসার আমাদের আস্বস্ত করে গেছেন। আমরা তার উপযুক্ত শ্বাস্তি চায়।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন আমি কোন অর্থ আত্মস্বাত করিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
সহকারী জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার লক্ষন কুমার দাস জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিষটি তদন্ত করছি তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।